রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে রাজশাহী বিভাগের জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান আল মারুফ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ২০০৯ সালের আইন অনুযায়ী ৩৭ ও ৫১ ধারায় ৫ টি প্রতিষ্ঠান মালিককে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্ত্বরের তিনটি খাবারের দোকানকে সাত হাজার টাকা ও লাইব্রেরি চত্ত্বরের (পশ্চিম পাশে) দু’টি স্টেশনারী দোকানকে পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

টুকিটাকি চত্বরের মনির, বাবু ও সুমনের খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং পঁচা পেয়াজ ও আলু পাওয়ার অভিযোগে মনিরকে তিন হাজার, বাবু ও সুমনকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্ত্বরের পাশে ‘টুকিটাকি স্টেশনারী’-তে মেয়াদউত্তীর্ণ কিটক্যাট চকলেট পাওয়ায় দোকানের মালিক রফিকুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এসময় লাইব্রেরি চত্ত্বরের ‘ফয়জুল এন্ড সন্স’ দোকানের মালিক ফয়জুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার দোকানেও মেয়াদউত্তীর্ণ কিটক্যট পাওয়া যায়। সেই সাথে কিছু বিদেশী পণ্য পাওয়া যায় যার মূল্য তালিকা এবং আমদানিকারকের নাম ছিল না।

অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হাসান আল মারুফ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি খাবার হোটেল ও ২ টি স্টেশনারীতে অভিযান চালাই।

এসময় ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ২০০৯ সালের আইন অনুযায়ী ৩৭ ও ৫১ ধারায় ৫ টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৩২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে এসব দোকানী মালিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পায়। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিতের জন্যে এর আগেও ২০১৮ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে অভিযান চালানো হয়েছিল।

ভোক্তা অধিদপ্তরকে অভিযান চালানোর জন্য আমরা অবহিত করি। তারাও এ ব্যাপারে ইতিবাচক ছিলেন। অবশেষে আজকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালানো হয়। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’